পেছাল খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা
আপলোড সময় :
০৪-০৫-২০২৫ ১০:৫৫:২১ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-০৫-২০২৫ ১০:৫৫:২১ পূর্বাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ফিরবেন একদিন পিছিয়ে ৬ মে।
মঙ্গলবার ৬ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
জানা গেছে, দেশে ফেরার পথে কাতারে যাত্রা বিরতি করবেন খালেদা জিয়া। শনিবার (৩ মে) বিকেলে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, কাতারের আমিরের দেওয়া রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বাংলাদেশে ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি আরও জানান, অ্যাম্বুল্যান্সে চারজন মেডিকেল ক্রু থাকবেন। এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সফর সঙ্গী থাকবেন মোট ১৪ জন। কাতারের আমির গত কয়েকদিন রাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়া ও আমেরিকায় থাকায় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি পাওয়ার অনুমোদন পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পেতে কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিপ প্রটোকল কর্মকর্তা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
যুক্তরাজ্য ত্যাগ করার পূর্বে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স যোগে যাওয়া চিকিৎসকরা প্রথমে বেগম খালেদা জিয়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। লন্ডন থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে বেগম খালেদা জিয়ার সফর সঙ্গী হবেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম মালেক খান ও তার স্ত্রী।
এদিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজাকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, ম্যাডামের বাসভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সবকিছু জানানো হয়েছে।
লন্ডন থেকে দেশে ফেরার বিষয়টি জানিয়ে গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি দেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি শুরু করে।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। তবে তিনি কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
এরপর এ বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স